লাল ঘোড়ায় দোষ নাই!!


আজকে সারোয়ারের লেখা পড়ে সেই পুরানা কৌতুকটাই আবার মনে পরল।
এক গ্রামে বিশাল শালিস বসছে।বিচার বসছে এক উঠতি যুবকরে নিয়া। তার অপরাধ সে ঘোড়ার সাথে একটা কু-কাজ করছে, সেইটা আবার কেউ একজন দেইখা ফেলছে।
তো বিচারে মাতব্বর সাহেব বললেন: অবশ্যই এইটা এক ঘৃন্য অপরাধ, আর মানব জাতির জন্য অকল্যানকর। তার কঠিন শাস্তি পাইতে হইব।
গ্রামের সব লোক একসাথে হৈ হৈ কইরা উঠল: ঠিকই বলছেন মাতবর সাব।
যাক, যুবকের ভাগ্যে জুটল ১০০ চাবুকের ঘা!!

কিছুদিন পরে এক ভোরবেলার মাতবরের বাড়ীর সামনে বিশাল হৈ চৈ। মাতবর বাইর হইয়া দেখে তার যুবক ছেলেরে লোকজন দড়ি দিয়া বাইন্ধা নিয়া আসছে। কি বিষয় জিজ্ঞেস করতেই জানা গেল, মাতবরের পোলাও ঘোড়ার সাথে একই কু-কাজ করছে। মাতবর কইল তাইলে ত বিচার করতেই হয়। তাইলে শালিস ডাকা হউক।
শালিসে সবাই আসছে। ঐখানে সেই যুবকও আছে যে কয়দিন আগে ১০০ চাবুক খাইছে। মনে মনে বেশ খুশি সে, এইবার বুঝব চাবুকের বারি কেমন লাগে।
ত শালিস শুরু হইল। সব বৃতান্ত শুনার পরে মাতবর সাব জিগাইল: ঘোড়ার রঙটা কি আছিল।
উত্তর আইল: লাল ঘোড়া!!
মাতবর কইল: ধুরু মিয়ারা আগে কইবা না এইটা, এতক্ষন হুদাই সময় নষ্ট হইল।
সবাই একসাথে গিজাইল কেন মাতবর সাব কি বিষয়??
মাতবর পিক কইরা পানের পিক ফেলাইয়া কইল: আরে মিয়ারা লাল ঘোড়ার সাথে ঐ কু-কাজ করলে দোষ নাই!!

এখন সারোয়ারের যা বক্তব্য তাতে যদি আমি ভুল না বুইঝা থাকি তাইলে সে বলছে, যেই পত্রিকার কম কাটতি আছে সেইটাতে এই কৌতুক ছাপলে দোষ নাই, যতটা না আছে কাটতি-আলা পত্রিকায়!!
ভাইরে, আমি তোমারে বলতে চাই, মতি-মিয়া একজন খাঁটি ব্যবসায়ী। তারে যদি আজকে এই পত্রিকা থেইক্কা বাইরও কইরা দেয় তার কিছুই হইব না। সে আবার অন্য কোথাও আস্তানা গাড়ব। তারে আমি তুলনা করি লালসালুর মজিদের লগে। তাই তার ক্ষমা চাওনে এত খুশি হওনের কিছু নাই।
যাই হোক আমার আসল বক্তব্য হইল: আমার মতে উপরের দুইটা ছবি দেইখা কোনটাটেই আমার কোন অনুভূতি আহত হয় নাই।
কেন হয় নাই সেইটা একটু বলি।
যদি জরিপ করা হয়, বাংলাদেশে বেশিরভাগ মানুষের জন্ম-তারিখ কত। উত্তর হইব পহেলা জানুয়ারি। তাইলে কি দাড়াইল। বাংলাদেশে সব মানুষ জানুয়ারির এক তারিখেই জন্মাইছে!! সেইটা কি সম্ভব।
এই ছবির মাজেজাটা বুঝতে হইব। আমদের দেশে প্রায় সব ছেলের নামের সামনেই আমাদের পিতা-মাতা বা স্কুলের শিক্ষকরা "মুহাম্মদ" বা "মোহাম্মদ" বা "মো:" অদ্যাক্ষরটা লাগায়। কেন লাগায়? সেইটা আমাগ জাতির ট্রাডিশন হইয়া গেছে। ধর্মীয় বিষয়টা এইখানে মুখ্য না। সেইটাই এই ছবি দুইটার মাধ্যমে ফুটাইয়া তুলা হইছে। এইটার সাথে পহেলা জানুয়ারি জন্ম তারিখের পুরা মিল খুইজা পাওন যায়!! নাকি যায় না??
এখন আসি তোমার প্রতিবাদের বিষয়ে। আগের মেইলেও তুমি বলছ প্রত্যেক সত্যিকারের মুসলমানের এই বিষয়ে প্রতিবাদ করতে হইব। সেইটা সাধারণ পাবলিক মানুক আর না মানুক। আজকের লেখাটা একটু ভিন্ন। কোন কিছুরে জাস্টিফাইয়ের আভাস পাওন যায়।
আগের লেখা এবং আজকের লেখা দুইটা লেখারই আমি তীব্র দ্বিমত পোষন করতাছি তোমার সাথে। প্রথমত, তোমার ভাষ্যমতে আমি যদি প্রতিবাদ না করি তাইলে আমি সত্যিকারের মুসলমান না, যেইটা আমি মানতে পারলাম না কারণ তুমি এমন কেউ না যে ডিসিশন দিব কে সত্যিকারে মুসলিম আর কে না।
দ্বিতীয়ত, ছবির ইস্যুটা পুরা পলিটিকাল না হইলেও কিছুটা ব্যক্তি নাজেহাল। কারণ মতি মিয়ার উপরে যার-পর নাই অনেক পত্রিকাই ক্ষ্যাপা। আর এই ব্যক্তি নাজেহালরে রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিনত করতে না পারার জন্য, আমাগ গনতান্ত্রিক বা অগনতান্ত্রিক রাজনীতিবিদদরা "অক্ষম" এইটা ভাবনের কোন কারণ নাই।
শেষমেষ, তোমারে স্বরণ করাইয়া দেই বর্তমান সরকারের সম্পর্কে কিছুই বলা যাবে না। কারণ আমরা এখন জরুরী অবস্থার মধ্যে আছি আর বিধিমালা যা বলে সেইটা হইলো তুমি কোন প্লাটফর্মেই সরকার সম্পর্কে কিছু বলতে পার না।


ভাল থাইক।

1 comment:

Rasel said...

saiful bhai,

apne jodi tokyo jan taile ki tokyo tower dekhben na?

apne jodi moscow jan taile ki moscowr ghonta dekhben na?

amar boktobbo uprer postei disi. apne jei attachment pathaisen seita jodi ami likhtam taile hoyto pathaiten na. arr noya digonto jei dui line underline koira dise tarr porer line gulan ki porsen?

amar kothay abar bhaiben na ami moti mia ba ibrahim miar pokhhe kotha koitasi!! ora sobai ek.

amra jara sadharon publik tara gorom tawa theikka khali gorom koraite transfer hoi, ei ja!!

bhalo thaiken